ছাতক প্রতিনিধি ::ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজের ডিগ্রি কলেজ গেট এলাকায় একদল সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় তোফায়েল আহমদ বাবলু (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত বাবলু স্থানীয় দিঘলী চাকল পাড়া গ্রামের লকুছ মিয়ার পুত্র ও ওই কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজ বুধবার দুপুরে ছুটি হওয়ার পর কলেজ গেট এলাকায় পৌঁছা মাত্র তোফায়েল আহমদ বাবলুর উপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার শরিরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত-বিক্ষত করে পালিয়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে আশ-পাশ লোকজন জড়ো হয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে তারা সড়কের পশ্চিম দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতেই তার শরিরের অস্ত্রপ্রচার করা হবে। এদিকে কলেজ ছাত্রের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং চিহিৃত এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে তাৎক্ষনিক গোবিন্দগঞ্জবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক সড়কে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে থানা পুলিশের এসআই নব গোপাল ও এসআই সোহেল রানার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং অবরোধকারীদের সাথে আলোচনা করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এ ব্যাপারে আহত কলেজ ছাত্র তোফায়েল আহমদ বাবলু জানান, কলেজ ছুটি হওয়ার পর সে কলেজ গেট এলাকায় পৌঁছলে কিছু বুঝে ওঠার আগে গোবিন্দনগর গ্রামের সুহাগ, জগলু ও সাজনসহ ৭/৮জন সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা তার উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। তার পকেটে রক্ষিত ব্যবসার নগদ ৬০হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান কালারুকা ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ফয়জুল আলম লিটন ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা টিএম রায়হানসহ আহত কলেজ ছাত্রের অসংখ্য সহপাঠীরা। প্রশাসনের প্রতি তারা এ বর্বরতার সুষ্ট বিচার দাবি করে হামলাকারি সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।